Friday, December 4, 2015

জমাদিউল আওয়াল মাসের ফযীলত ও আমল



জমাদিউল আউয়াল মাসের আমল ও ফযীলত
আরবী মাসের পঞ্চম মাসের নাম জমাদিউল আউয়াল মাস। এ মাসের ফযীলত সম্পর্কে বিভিন্ন হাদীস শরীফ মারফত অনেক কিছু জানা যায়। অন্যান্য চান্দ্র মাসের মত এ মাসের ফযীলত ও বুজুর্গী কোন অংশে কম নয়। এ মাসেও ইবাদত-বন্দেগী করে এ মাসটিকে স্মরণে রাখা আমাদের একান্ত কর্তব্য। তাই বিভিন্ন কিতাব থেকে ফযীলতপূর্ণ কয়েকটি ইবাদতের কথা উল্লেখ করা হলোঃ

১। হাদীস শরীফে বর্‌ণীত আছে-যে দিন সন্ধ্যায় জমাদিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দৃষ্টিগোচর হবে সে রাত্রে মাগরিবের ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে ৪ (চার) রাকাত নফল নামাযের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহার পর সূরা এখলাছ তিন বার করে পড়ে দোয়া ও মুনাজাত করলে বিশেষ সওয়াবের অধিকারী হওয়া যায়।

২। এ মাসের ২১ তারিখের রাত্রে (২০ তারিখের দিবাগত রাত্রের) মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে এক সালামে ৪ রাকাত নফল নামায যে কোন সূরা দ্বারা আদায় করার নির্দেশ রয়েছে। এতেও অত্যন্ত সওয়াব হাসিল হয়। নামাযান্তে দোয়া দরূদ পড়ে মুনাজাত করে নবী পাক (সাঃ) এবং অন্যান্য সাহাবা কেরামের রূহ মোবারকে সওয়াব রেসানী করে দেয়া বহুতই ফযীলতের কাজ।

৩। জমাদিউল আউয়াল মাসের প্রথম রাত্রে মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে, যে ব্যক্তি দু' দু' রাকাত করে ৮ (আট) রাকাতের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহা একবার এবং সূরা এখলাছ ১১ (এগার) বার পাঠ করে, তাহলে আল্লাহ্‌ পাক তাকে অসংখ্য সওয়াব দান করবেন এবং মনের সত্‌ বাসনা পূরণ করে দেবেন।

৪। এ মাসের প্রথম তারিখের রাত্রে বা দিনে সাহাবায়েকেরাম দু' দু' রাকাত করে ২০ (বিশ) রাকাত নফল নামায আদায় করতেন যার প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহা ও সূরা এখলাছ এক একবার করে পড়তেন।

নামাযান্তে নিম্নলিখিত দরূদ শরীফটি ১০০ (একশত) বার পাঠ করতেন-

اللهم صل على محمد وعلى ال محمد كما صليت على ابراهيم وعلى ال ابراهيم انك حميد مجيد-
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ছল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা ছল্লাইতা আলা ইব্‌রহীমা ওয়া আলা আলি ইব্‌রহীমা ইন্নাকা হামীদুম্‌ মাজীদ। এ নামাযের ফযীলত সম্পর্কে বর্‌ণীত আছে যে, এ নামায পাঠকারীর আমলনামায় অংখ্য সওয়াব লিখা হয় আর দয়াময় আল্লাহ্‌ তাআলা এ নামায পাঠকারীর যাবতীয় নেক বাসনা পূর্ণ করে দেবেন।

৫। যে ব্যক্তি এ মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাত্রে দু' দু' রাকাত বা চার চার রাকাত করে আট (৮) রাকাত নামাযের প্রত্যেক রাকাতে একবার সূরা ফাতেহা ও ১৫ (পনের) বার সূরা এখলাছ পাঠ করে এবং নামাযান্তে নিম্নলিখিত দরূদ শরীফ ১০০ (একশত) বার পাঠ করে, তাহলে সে আল্লাহ্‌ তাআলার রহমতে মালদার হবে অধিকন্তু তার হজ্জ করার নসীব হবে। দরূদটি এইঃ


اللهم صل على سيدنا محمد و على ال سيدنا محمد كما صليت على ابراهيم و على ال ابرهيم انك حميد مجيد- اللهم بارك على سيدنا محمد و على ال سيدنا محمد كما باركت على ابراهيم وعلى ال ابراهيم انك حميد ميجيد-

আল্লাহুম্মা ছল্লি আলা সাইয়্যেদিনা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলি সাইয়্যদিনা মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইব্‌রহীমা ওয়া আলা আলি ইব্‌রহীমা ইন্নাকা হামীদুম্‌ মাজীদ। আল্লহুম্মা বারিক আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আলা ইব্‌রহীমা ওয়া আলা আলি ইব্‌রহীমা ইন্নাকা হামীদুম্‌ মাজীদ।
****************